· গ্রাম আদালতের উদ্দেশ্য এবং প্রয়োজনীয়তা
· প্রাচীনকাল থেকেই এদেশে পঞ্চায়েত নামে যে সংস্হা প্রচলিত ছিল তার অন্যতম প্রধান দায়িত্ব ছিল স্হানীর বিচার কার্য সম্পাদন ও ঝগড়া –বিবাদের মীমাংসা করা । বৃটিশরা যদি ও প্রথমেএ দায়িত্ব স্হানীর সংস্হায় উপর অপর্ণ করেনি কিন্তু বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগেই ১৯১৯ সালে বঙ্গীয় পল্লী স্বায়ওশাসন আইনের মাধ্যমে ইউনিয়ন বোর্ডকে দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভর প্রকার মামলার বিচার করার হ্মমতা দেয়া হয় ।
·
· বর্তমান বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্হার সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছে গ্রাম আদালত । গ্রামাঞ্চলের কিছু কিছু মামলার নিষ্পত্তি এবং তৎসম্পর্কীয় বিষয়াবলি বিচার সহজলভ্য করার উদ্দেশ্যে গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ ,১৯৭৬ এর আওতায় এ আদালত গঠিত হয় এবং এটি একটি মীমাংসামূলক আদালত । ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা যেহেতু এলাকার সম্মানিত ব্যত্তি এবং জনপ্রতিনিধি সেহেতু তাদের দ্বারা আসল ঘটনার সত্যতা যাচাই করে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান খুজে বের করাই গ্রাম আদালতের উদ্দেশ্য । পরবর্তীতে “গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬”প্রণীত হয় ।
· বর্তমানে গ্রাম আদালত আইন,২০০৬ দ্বারা গ্রাম আদালত পরিচালিত হচেছ । এ আইনে ২১টি ধারা এবং ১টি তফসিল রয়েছে ।তফসিলের দুটি অংশ (প্রথম অংশ এবং দ্বিতীয় অংশ)
·
·
· *গ্রাম আদালতের অন্তভুক্ত ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলাসমূহ:
· (ক)তফসিলের প্রথম অংশ: বিচারযোগ্য ফৌজদারি মামলাসমূহ
·
· ১. দন্ডবিধির ধারা ৩২৩ বা ৪২৬ বা ৪৪৭মোতাবেক কোন অপরাধ সংঘটন করা, বে-আইনি জনসমাবেশ সাধারণ উদ্দেশ্যে হলে এবং ইক্ত বে-আইনি জনসমাবেশ জড়িত ব্যক্তির সংখ্যা ১০ এর অধিক না হলে দন্ডবিধির ১৪৩ ও ১৪৭ ধারা ১৪১ ধারা এর ৩য় বা ৪র্থ দফার সাথে পঠিবব্য।
· ২.দন্ডবিধিরধারা১৬০,৩৩৪,৩৪১,৩৪২,৩৫২,৩৫৮,৫০৪,৫০৬
· (প্রথমঅংশ )৫০৮,৫০৯,এবং ৫১০।
· ৩.দন্ডবিধির ধারা ৩৭৯,৩৮০,ও ৩৮১ যখন সংঘঠিত অপরাধটি গবাদিপশু সংক্রান্ত হয় এবং গবাদিপমুর মুল্য অনধিক ২৫,০০০/(পচিঁশ হাজার )টাকা হয়।
· ৪.দন্ডবিধির ধারা ৪০৩,৪০৬,৪১৭ ও ৪২০ যখন অপরাধ সংশ্লিষ্ট অর্থের পরিমান অনধিক-২৫,০০০/(পচিঁশ হাজার)টাকাহয় ।
·
· (খ)তফসিলের দ্বিতীয় অংশ : দেওয়ানি মামলাসমূহ
· ১.কোন চুক্তি মোতাবেক পাওনা টাকা বা দলিল দস্তাবেজ আদায়ের মামলা ।
· ২.অস্হাবর সম্পত্তি উদ্ধার বা এর মূল্য আদায় জনিত ।
· ৩. গবাদি পশুর দ্বারা হ্মতি সাধনের মামলা।
গ্রামআদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য মামলা
·
· গ্রাম আদালত আইনের ৩ ধারার তফসিলের প্রথম অংশে ফৌজদারি মামলা এবং দ্বিতীয় অংশে দেওয়ানি মামলার বিষয়াবলি বর্ণনা করা হয়েছে। অত:পর ভিন্ন রকম বিধান না থাকলে ,গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য হবে।
ধারা-১ (সংক্ষিপ্ত নাম, প্রারম্ভ ও প্রয়োগ)
(১) এই অধ্যাদেশকে ১৯৭৬ সালের গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ বলা হইবে ।
(২) উহা ঐ তারিখ হইতে কার্যকরী হইবে যাহা সরকার ঘোষণাপত্র দ্বারা বিজ্ঞপ্তি করিয়া নির্ধারণ করেন ।
(৩) এই অধ্যাদেশ ঐ সমস্ত এলাকায় কার্যকর নহে যাহা ইউনিয়ন পরিষদের সীমানা বহিভর্ভুত ।
ধারা-২ (সংজ্ঞা)
বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোনো কিছু না থাকিলে এই অধ্যাদেশে
(ক) ''আদালতের এখতিয়ারাধীন অপরাধ''বলিতে বুঝায় ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধির (১৮৯৮ সালের ৫নং আইন) ৪ ধারায় বর্ণিত বিচারযোগ্য অপরাধ,
(খ) ''ডিক্রি''বলিতে ১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধির (১৯০৮ সালের ৫নং আইন) ২ ধারায় বর্ণিত ডিক্রিকে বুঝায়;
(গ) ''নিয়ন্ত্রণাধিকারী সহকারী জজ''বলিতে ঐ সহকারী জজকে বুঝায় যাহার অধিক্ষেত্রের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নটিঅন্তর্ভুক্ত; তবে যেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নটি একাধিক সহকারী জজেরঅধিক্ষেত্রের মধ্যে অন্তর্গত সেইক্ষেত্রে কনিষ্ঠ সহকারী অধিক্ষেত্র হইবে;
(ঘ) ''পক্ষ''বলিতে ঐ ব্যক্তিকে বুঝাইবে যাহার উপস্থিতি বিরোধ মীমাংসার জন্য প্রয়োজন এবং যাহাকে গ্রামাদালত বিরোধের পক্ষ বলিয়া মনে করেন;
(ঙ) ''ইউনিয়ন এবং ইউনিয়ন পরিষদ''ঐ একই অর্থ বহন করে যাহা বাংলাদেশ স্থানীয় সরকার ১৯৭৬ সালের অধ্যাদেশ বহন করে ।
(চ) ''গ্রাম আদালত''বুঝিতে এই অধ্যাদেশের আওতাধীন আদালত ।
ধারা-৩ (গ্রাম আদালত কতৃর্ক বিচার্য মামলাসমূহ )
(১)১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধি (১৮৯৮ সালের ৫নং আইন) অথবা ১৯০৮ সালেরফৌজদারী কার্যবিধিতে (১৯০৮ সালের ৫ নং আইন) কোনো কিছু থাকা সত্ত্বেওঅন্যরকম বিধান না থাকিলে তফসিলের প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ডভুক্ত যাবতীয় মামলাগ্রাম আদালত কতৃর্ক বিচার্য হইবে এবং এতদ প্রসঙ্গে কোনো দেওয়ানী বাফৌজদারী আদালতের কোনো এখতিয়ার থাকিবে না ।
(২)গ্রাম আদালত তফসিলের প্রথম খণ্ডে বর্ণিত কোনো মামলা নিষ্পত্তি করিবেন না ।যদি অপরাধী পূর্বে কোনো আমলযোগ্য অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয় এবং তফসিলেরদ্বিতীয় খণ্ডে বর্ণিত কোনো মামলা নিষ্পত্তি করিবেন না যদি তাহা-
(ক) নাবালকের স্বার্থ জড়িত হয়;
(খ) বিরোধের বিষয় পক্ষগণের মধ্যে চুক্তি মোতাবেক সালিসির ব্যবস্থা করা হয়;
(গ) সরকার কিংবা স্থানীয় সরকার অথবা কোনো সরকারী কর্মচারী তাহার কর্তব্য পালনে মামলায় জড়াইয়া যায় ।
(৩)তবে ১ উপধারায় বর্ণিত শর্তাবলী কোনো মামলার স্থাবর সম্পত্তি স্বত্বপ্রমাণে প্রযোজ্য হইবে না যদিও গ্রাম আদালত এতদসঙ্গে ইহার আদেশে দখল প্রদানবা দখল উদ্ধারের রায় দিয়া থাকেন ।
ধারা-৪ (গ্রাম আদালত গঠনের আবেদন)
উপধারা-(১)যে স্থলে অত্র অধ্যাদেশ অনুসারে কোনো মামলা গ্রাম আদালত কতৃর্কবিচারযোগ্য সেই স্থলে বিরোধের যে কোনো পক্ষ মামলা বিচারের জন্য সংশ্লিষ্টইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট নির্ধারিত নিয়মে নির্ধারিত ফী প্রদানেগ্রাম আদালত গঠনের জন্য আবেদন করিতে পারেন ।
চেয়ারম্যান লিখিত কারণ দর্শাইয়া আদালত গঠনের আবেদন অগ্রাহ্য না করিলে নির্ধারিত প্রণালীতে গ্রাম আদালত গঠন করিবেন;
তবে এই ধারায় কোনো মস্তিষ্ক বিকৃতি ব্যক্তির কোনো আবেদন করা যাইবে না ।
উপধারা-(২)এক উপধারার আওতাধীন কোনো আবেদন অগ্রাহ্য হইলে আদেশে ক্ষুন্ন ব্যক্তিআদেশটি অসদুদ্দেশ্য প্রণোদিত অথবা বস্তুতঃ অন্যায় দাবিতে নির্ধারিত নিয়ম ওসময়ের মধ্যে অধিক্ষেত্রের অন্তর্গত সহকারী জজের নিকট রিভিশনের আবেদন করিতেপারেন ।
ধারা-৫ (গ্রাম আদালতসমূহ, উহাদের গঠন ইত্যাদি)
উপধারা-(১)গ্রাম আদালত একজন চেয়ারম্যান এবং বিরোধের প্রত্যেক পক্ষ কতৃর্ক নির্র্ধরিত নিয়মে মনোনীত ২ জন প্রতিনিধি লইয়া গঠিত হইবে ।
তবে শর্র্ত থাকে যে, প্রত্যেক পক্ষ কতৃর্ক মনোনীত প্রতিনিধিদ্বয়ের একজন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হইবেন ।
উপধারা-(২)ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান হইবেন, তবে যে স্থলেতিনি কোন কারণে চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ করিতে অক্ষম কিংবা বিরোধের কোন পক্ষতাহার পক্ষপাতিত্বহীনতা সম্পকে॔ আপত্তি উত্থাপন করেন সেই স্থলে নিধা॔রিতনিয়মে ইউনিয়ন পরিষদের অন্য যে কোন সদস্য গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান হিসাবেনিয়োজিত হইবেন৷
উপধারা-(৩)যদি বিরোধের কোনো পক্ষ একাধিক ব্যক্তি লইয়া গঠিত হয় তবে চেয়ারম্যানসেইপক্ষ গঠনকারী ব্যক্তিদিগকে সেইপক্ষের জন্য ২ জন প্রতিনিধি মনোনীত করিতেআহবান জানাইবেন এবং যদি তাহারা মনোনয়ন করিতে অসমর্থ হয় । তবে. তিনি ঐব্যক্তিদের যেকোনো একজনকে তাহা করিবার জন্য ক্ষমতা প্রদান করিবেন এবংতদনুয়ায়ী একমাত্র ঐরূপ ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির প্রতিনিধি মনোনয়নের অধিকারথাকিবে ।
উপধারা-(৪)যদি বিরোধের কোনো পক্ষ ইউনিয়ন পরিষদের কোনো সদস্যকে পক্ষপাতহীন বলিয়ামনে না করেন তাহা হইলে তিনি সদস্য মনোনয়নের জন্য চেয়ারম্যানের অনুমতিপ্রার্থনা করিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ব্যতিরেকে যেকোনো ব্যক্তিকে সদস্যমনোনয়ন করিতে পারেন ।
উপধারা-(৫)যেক্ষেত্রেএই ধারা মোতাবেক প্রয়োজনীয় প্রতিনিধিগণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মনোনীত নাহয় সেইক্ষেত্রে গ্রাম আদালত অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ঐরূপপ্রতিনিধি ব্যতিরেকেই বৈধভাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং তদনুয়ায়ীগ্রাম আদালতের বিচারকার্য চলিবে ।
ধারা-৬ (গ্রাম-আদালতের এখতিয়ার ইত্যাদি)
উপধারা-(১)যে ইউনিয়নে অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা মামলার কারণের উদ্ভব হইয়াছে, বিবাদেরপক্ষগণ সাধারণতঃ সেই ইউনিয়নের অন্তর্গত এলাকার বাসিন্দা হইলে (২) উপধারারবিধানাবলী সাপেক্ষ গ্রাম আদালত গঠিত হইবে এবং এইরূপ কোনো মামলার বিচারকরিবার জন্য উক্ত আদালতের এখতিয়ার থাকিবে ।
উপধারা-(২)যে ইউনিয়নের অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা মালার কারণ উদ্ভদ হইয়াছে বিবাদের একপক্ষ সাধারণতঃ সেই ইউনিয়নের এখতিয়ারভুক্ত এলাকার বাসিন্দা হইলে এবং অপরপক্ষ অন্য ইউনিয়নের এখতিয়ারভুক্ত এলাকার বাসিন্দা হইলে ক্ষেত্রমত যেইউনিয়নের মধ্যে অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা মামলার কারণে উদ্ভব হইয়াছে সেইইউনিয়নে গ্রাম আদালত গঠিত হইবে৷ তবে প্রত্যেক পক্ষ ইচ্ছা করিলে নিজ ইউনিয়নহইতে প্রতিনিধি মনোনীত করিতে পারিবেন ।
ধারা-৭ (গ্রাম-আদালতের ক্ষতিপূরণ দানের রায় প্রদানের ক্ষমত )
উপধারা-(১)এই অধ্যাদেশে অন্য প্রকার বিধান না থাকিলে, গ্রাম আদালতের কারাদণ্ড বাজরিমানার আদেশ প্রদানের কোনো ক্ষমতা থাকিবে না । কিন্তু আদালত যদি কোনোব্যক্তিকে তফসিলের প্রথম ভাগে বর্ণিত কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেন তবেসংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে অনধিক পাঁচ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্যঅভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদেশ দিতে পারেন ।
উপধারা-(২)তফসিলের ২য় ভাগে বর্ণিত কোনো বিষয় সম্পর্কিত কোনো মোকদ্দমায় অনুরূপ বিষয়বাবদ তফসিলে উল্লেখিত পরিমাণ অর্থ প্রদানের জন্য অথবা সম্পত্তির প্রকৃতমালিককে (স্বত্বাধিকারী ব্যক্তিকে) সম্পত্তি বা উহার দখল প্রত্যার্পণ করারজন্য আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা গ্রাম-আদালতের থাকিবে ।
ধারা-৮ (গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্তবলীর চূড়ান্ত প্রকৃতি)
উপধারা-(১)গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত যদি সর্বসম্মত বা চার-এক ভোটে গৃহীত হয় তাহা হইলেউক্ত সিদ্ধান্ত পক্ষগণের উপর বাধ্যতামূলক হইবে এবং এই অধ্যাদেশেরবিধানাবলী মোতাবেক কার্যকর হইবে ।
উপধারা-(২)গ্রাম-আদালতের সিদ্ধান্ত যদি তিন-দুই ভোটে গৃহীত হয়, তাহা হইলে সিদ্ধান্তগ্রহণের ত্রিশ দিনের মধ্যে যেকোনো পক্ষ নির্ধারিত পদ্ধতিতে-
(ক) মামলাটি তফসিলের প্রথম ভাগে বর্ণিত কোনো অপরাধ সম্পর্কিত হইলে, থানা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট; এবং
(খ)মামলাটি তফসিলের দ্বিতীয় ভাগে বর্ণিত কোনো বিষয় সম্পর্কিত হইলে, এখতিয়ারসম্পন্ন সহকারী জজের নিকট আবেদন করিতে পারেন এবং ক্ষেত্রমত থানাম্যাজিস্ট্রেট বা সহকারী জজের নিকট যদি সন্তোষজনক প্রতীয়মান হয় যে, এইমামলার সুবিচার হয় নাই । তাহা হইলে তিনি উক্ত সিদ্ধান্ত বাতিল বা পরিবর্তনকরিতে পারেন । অথবা পুনঃবিবেচনার জন্য বিবাদটি গ্রাম- আদালতের নিকট ফেরতপাঠাইবার নির্দেশ দিতে পারেন ।
উপধারা-(৩)আপাততঃ বলবত্ অন্য কোনো আইনে অন্তর্গত যেকোনো কিছু (থাকা) সত্ত্বেও এইঅধ্যাদেশের বিধানাবলী মোতাবেক গ্রাম আদালত কতৃর্ক কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্তগৃহীত হইলে উহা গ্রাম আদালতসহ অন্য কোনো আদালতে বিচার্য হইবে না ।
ধারা-৯ (ডিক্রি বলবতকরণ)
উপধারা-(১)যেক্ষেত্রে গ্রাম আদালত ক্ষতিপূরণদানের জন্য কোনো ব্যক্তিকে আদেশ দেওয়াঅথবা সম্পত্তি বা উহার দখল প্রত্যার্পণ করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনসেইক্ষেত্রে যেরূপ ফরম বা পদ্ধতি নির্ধারিত হইবে । সেইরূপ ফরম ও পদ্ধতিতেএকটি ডিক্রি প্রদান করিবেন এবং তদসংক্রান্ত বিবরণ নির্দিষ্ট রেজিস্টারেলিপিবদ্ধ করিবেন ।
উপধারা-(২)গ্রাম আদালতের উপস্থিতিতে উক্ত ডিক্রীর দাবি মিটান বাবদ যদি কোনো অর্থপ্রদান করা হয় অথবা কোনো সম্পত্তি অর্পণ করা হয় তাহা হইলে আদালত ক্ষেত্রমতউক্ত অর্থ প্রদান বা সম্পত্তি অর্পণ করা হয় তাহা হইলে আদালত ক্ষেত্রমতউক্ত অর্থ প্রদান বা সম্পত্তি অর্পণ সংক্রান্ত তথ্য উপরিউক্ত রেজিস্টারেলিপিবদ্ধ করিবেন ।
উপধারা-(৩)যেক্ষেত্রে ডিক্রি ক্ষতিপূরণ দানের সহিত সম্পর্কিত হয় এবং ডিক্রিগত অর্থনির্ধারিত সময়ে প্রদত্ত হয় না সেইক্ষেত্রে গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান উক্তবিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে প্রেরণ করিবেন যে পরিষদ উক্ত ক্ষতিপূরণকেতত্কতৃর্ক ধার্যকৃত খাজনা মনে করিয়া ১৯৭৬ সালের স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশের(১৯৭৬ সালের ৯০নং আইন) অধীনে কোন ইউনিয়ন পরিষদ কতৃর্ক ধার্যকৃত খাজনাযেভাবে আদায় করা হয় সেই একইভাবে উহা আদায় করিবার জন্য প্রবৃত্ত হইবেন এবংযাহা ডিক্রিদারকে প্রদান করিতে হইবে ।
উপধারা-(৪)যেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ প্রদান না করিয়া অন্য কোনো প্রকারে ডিক্রি দাবিমিটান যাইতে পারে । সেইক্ষেত্রে উক্ত ডিক্রি জারি করিবার জন্যএখদিয়ারসম্পন্ন সহকারী জজের আদালতে উপস্থাপন করিতে হইবে এবং অনুরূপ আদালতএই ডিক্রি জারির জন্য এমনভাবে উদ্যেগ গ্রহণ করিবেন যেন এই আদালত কতৃর্কইউক্ত ডিক্রি প্রদান করা হইয়াছে ।
উপধারা-(৫)গ্রাম আদালত উপযুক্ত মনে করিলে তত্কতৃর্ক নির্র্ধারিত কিস্তিতে ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রধানের নির্দেশ দিতে পারেন ।
ধারা-১০ (গ্রাম আদালতের সাক্ষী ইত্যাদিকে সমন করিবার ক্ষমতা)
(১)গ্রাম আদালত যেকোনো ব্যক্তিকে হাজির হওয়ার ও সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য অথবাকোনো দলিল দাখিল করিবার বা করাইবার জন্য সমন দিতে পারিবেন;
তবে শর্ত থাকে যেঃ
(ক)১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যপদ্ধতি সংহিতা (১৯০৮ সালের ৫নং আইন)-এর ১৩৩ ধারার(১) উপধারা মোতাবেক যে ব্যক্তিকে স্বয়ং আদালতে ব্যক্তিগতভাবে হাজিরা হইতেঅব্যাহতি প্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিকেই সশরীরে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়াযাইবে না ।
(খ)গ্রাম-আদালত যদি মনে করেন যে পরিস্থিতি এমন যে সেই পরিস্থিতিতেই অহেতুকবিলম্ব, খরচ বা অসুবিধা ব্যতীত কোনো সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা সম্ভব নহেতবে আদালত সেই সাক্ষীকে সমন দিতে বা সেই সাক্ষীর বিরুদ্ধে প্রদত্ত সমনকার্যকর করিতে অস্বীকার করিতে পারেন;
(গ)গ্রাম-আদালতের এখতিয়ার বহির্ভুত এলাকায় বসবাসকারী কোনো ব্যক্তির ভ্রমণ ওঅন্যান্য খরচ নির্বাহ বাবদ আদালতের বিবেচনামতে পর্যাপ্ত অর্থ তাহাকেপ্রদানের জন্য আদালতে জমা না দেওয়া হইলে, গ্রাম-আদালত ঐ ব্যক্তিকে সাক্ষ্যদেওয়ার জন্য অথবা কোনো দলিল দাখিল করিবার বা করাইবার জন্য নির্দেশ দিবেননা ।
(ঘ)গ্রাম আদালতের রাষ্ট্রীয় বিষয়াবলী সম্পর্কিত কোনো গোপনীয় দলিল বাঅপ্রকাশিত সরকারী রেকর্ড দাখিল করিবার জন্য কোনো ব্যক্তিকে নির্দেশ দিবেননা, অথবা অনুরূপ গোপনীয় দলিল বা অপ্রকাশিত সরকারী রেকর্ড হইতে আহরিত কোনোসাক্ষ্য প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান কর্মকর্তার অনুমতি প্রদানকরিতে বা স্থগিত রাখিতে পারেন, তাহার অনুমতি ব্যতীত গ্রাম আদালত কোনোব্যক্তিকে অনুমতি প্রদান করিবেন না ।
(২)যে ব্যক্তিকে গ্রাম-আদালত উক্ত আদালতে হাজির হইতে এবং সাক্ষ্য দিতে অথবাকোনো দলিল দাখিল করিবার জন্য সমন দিয়াছেন, তিনি যদি অনুরূপ সমনইচ্ছাপূর্বক অমান্য করেন তাহা গ্রাম আদালত অনুরূপ অবাধ্যতা আদালত গ্রাহ্যঅপরাধ বলিয়া গণ করিতে পারেন এবং বক্তব্য পেশের সুযোগ দেওয়ারপর ঐ ব্যক্তিকেঅনধিক দুইশত পঞ্চাশ টাকা জরিমানা করিতে পারেন ।
ধারা-১১ (গ্রাম আদালতের অবমাননা)
কোনো ব্যক্তি আইনসঙ্গত অজুহাত ব্যতীত যদি-
(ক) গ্রাম-আদালত বা উহার কোনো সদস্যকে আদালতের কার্য চলাকালে কোনো প্রকার অপমান করেন, অথবা
(খ) গ্রাম-আদালতের কার্যে কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি করেন, অথবা
(গ) গ্রাম-আদালতের আদেশ সত্ত্বেও কোনো দলিল দাখিল বা অর্পণ করিতে ব্যর্থ হন, অথবা
(ঘ) গ্রাম-আদালতের যে প্রশ্নের উত্তর দিতে তিনি বাধ্য সেইরূপ কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন, অথবা
(ঙ)সত্য কথা বলিবে বলিয়া শপথ গ্রহণ করিতে বা গ্রাম-আদালতের নির্দেশ মোতাবেকতাহার প্রদত্ত জবানবন্দিতে স্বাক্ষর করিতে অস্বীকার করেন, তাহা হইলে তিনিগ্রাম-আদালত অবমাননার দায়ে অপরাধী হইবেন এবং আদালতের নিকট কোনো অভিযোগ পেশকরা না হইলেও আদালত অনুরূপ অবমাননার অপরাধে অবিলম্বে উক্ত ব্যক্তির বিচারকরিবেন এবং তাহাকে অনধিক পাঁচশত টাকা জরিমানা করিতে পারিবেন ।
ধারা-১২ (জরিমানা আদায়)
উপধারা-(১)যেক্ষেত্রে কোনো গ্রাম-আদালত ১০ ও ১১ ধারা মোতাবেক জরিমানা ধার্য করেনকিন্তু জরিমানা অবিলম্বে পরিশোধ করা না হয় সেইক্ষেত্রে আদালত ধার্যকৃতজরিমানার পরিমাণ এবং উহা যে পরিশোধ করা হয় নাই, এই তথ্য উল্লেখ করিয়া একটিআদেশ লিপিবদ্ধ করিবেন এবং তাহা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে প্রেরণ করিবেন যে, উক্ত জরিমানাকে তত্কতৃর্ক ধাযর্কৃত খাজনা মনে করিয়া ১৯৭৬ সালের স্থানীয়সরকার অধ্যাদেশের (১৯৭৬ সালের ৯০নং আইন) অধীনে কোনো ইউনিয়ন পরিষদ কতৃর্কধার্যকৃত খাজনা যেভাবে আদায় করা হয় সেই একইভাবে উহা আদায় করিবার জন্যপ্রবৃত্ত হইবেন ।
উপধারা-(২)১০ ও ১১ ধারা মোতাবেক গ্রাম-আদালতকে প্রদত্ত বা (১) উপধারা মোতাবেকগ্রাম-আদালতের পক্ষে আদায়কৃত সমস্ত জরিমানা ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলেরঅঙ্গীভূত হইবে ।
ধারা-১৩ (কার্যপদ্ধতি)
উপধারা-(১)এই অধ্যাদেশের দ্বারা বা ইহার অধীন অন্য প্রকার স্পষ্ট বিধান করা না হইলে, ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইন, (১৮৭২ সালের ১নং আইন), ১৮৯৮ সালের ফৌজদারকার্যপদ্ধতি সংহিতা (১৮৯৮ সালের ৫নং আইন)-এর বিধানাবলী কোনো গ্রাম-আদালতেআনীত মামলায় প্রযোজ্য হইবে না ।
উপধারা-(২)১৮৭৩ সালের শপথ গ্রহণ আইন (১৮৭৩ সালের ১০নং আইন)-এর ৮ হইতে ১১ ধারা গ্রাম-আদালতে আনীত সকল মোকদ্দমায় প্রযোজ্য হইবে ।
উপধারা-(৩)এই অধ্যাদেশের অধীন বিচারযোগ্য কোনো অপরাধের দায়ে কোনো সরকারী কর্মচারীরবিরুদ্ধে মামলা করিবার জন্য, তাহার নিয়োগদানকারী কতৃর্পক্ষের পূর্বঅনুমোদন প্রয়োজন হইবে, যদি উক্ত সরকারী কর্মচারী এই মর্মে কোনো অজুহাতখাড়া করেন যে, যে অপরাধ তিনি করিয়াছেন বলিয়া অভিযোগ করা হইয়াছে তাহা তাহারসরকারী কর্তব্য পালন করিতে গিয়া বা অনুরূপ বিবেচনায় সংঘটিত হইয়াছে ।
ধারা-১৪ (উকিলের মাধ্যমে হাজিরা নিষিদ্ধ)
উপধারা-(১)১৯৭২ সালের বাংলাদেশ আইনজীবী পরিষদ আদেশে (১৯৭২ সালের পি.ও.নং ৪৬) যাহাবলা হইয়াছে তাহা সত্ত্বেও গ্রাম-আদালতের নিকট বিবাদের কোনো পক্ষের সমর্থণেওকালতি করিতে কোনো আইনজীবীকে অনুমতি দেওয়া হইবে না ।
উপধারা-(২)এই অধ্যাদেশ মোতাবেক যে ব্যক্তিকে গ্রাম-আদালতের নিকট হাজির হইতে নির্দেশদেওয়া হইয়াছে তিনি যদি পর্দানশীল মহিলা হন তাহা হইলে উক্ত আদালত তাহারযথাযথ ক্ষমতা প্রদত্ত এজেন্টকে তাহার প্রতিনিধত্ব করিবার জন্য অনুমতি দিতেপারিবেন, তবে উক্ত এজেন্ট কোনো ক্রমেই অর্থের বিনিময়ে নিযুক্ত এজেন্ট হইবেনা ।
ধারা-১৫ (কতিপয় মামলার স্থানান্তর)
উপধারা-(১)যেক্ষেত্রে থানা ম্যাজিস্ট্রেট মনে করেন যে, তফসিলের প্রথম ভাগেরঅন্তর্ভুক্ত কোনো বিষয় সম্পর্কিত এবং গ্রাম- আদালতের নিকট বিচারাধীন কোনোমামলার পরিস্থিতি এইরূপ যে জনস্বার্থের খাতিরে ও ন্যায়বিচারের উদ্দেশ্যেকোনো ফৌজদারী আদালতে উহার বিচার হওয়া উচিত সেইক্ষেত্রে এই অধ্যাদেশে যাহাবলা হইয়াছে তাহা সত্ত্বেও তিনি গ্রাম-আদালত হইতে উক্ত মামলা প্রত্যাহারকরিতে এবং বিচার ও মীমাংসার জন্য উহা ফৌজদারী আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দিতেপারিবেন ।
উপধারা-(২)কোনো গ্রাম আদালত যদি মনে করেন যে, উপরোক্ত কোনো বিষয় সম্পর্কিত এবংগ্রাম-আদালতের নিকট বিচারাধীন কোনো মামলার ন্যায়বিচারের উদ্দেশ্যে অপরাধীরশাস্তি হওয়া উচিত । তাহা হইলে উক্ত আদালত মামলাটির বিচার ও মীমাংসা করিবারজন্য ফৌজদারী আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দিতে পারিবেন ।
ধারা-১৬ (পুলিশের তদন্ত)
আদালতগ্রাহ্য কোনো তদন্ত করা হইতে, উক্ত মামলা তফসিলের প্রথম ভাগে বর্ণিতকোনো অপরাধ সম্পর্কিত হওয়ার কারণেই কেবল এই অধ্যাদেশের কোনো কিছু পুলিশকেনিবৃত্ত করিবে না । তবে, যদি কোনো ফৌজদারী আদালতে অনুরূপ কোনো মামলাআনীত হয় তাহা হইলে উক্ত আদালত উপযুক্ত মনে করিলে মামলাটি এই অধ্যাদেশমোতাবেক গঠিত কোনো গ্রাম-আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দিতে পারিবেন ।
ধারা-১৭ (বিচারাধীন মামলাসমূহ)
এইঅধ্যাদেশ মোতাবেক বিচারযোগ্য যেই সমস্ত মামলা এই অধ্যাদেশ বলবত্ হইবারঅব্যবহিত পূর্বে কোনো দেওয়ানী অথবা ফৌজদারী আদালতের বিচারাধীন রহিয়াছে, উহাদের উপর এই অধ্যাদেশ প্রযোজ্য হইবে না এবং অনুরূপ মামলা আদালত কতৃর্কএইরূপে মীমাংসা করা হইবে যেন এই অধ্যাদেশ জারি করা হয় নাই ।
ধারা-১৮(রেহাই দেওয়ার ক্ষমতা)সরকারীগেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার কোনো এলাকা বা এলাকাসমূহ, অথবা কোনোমামলা বা কোনো কোনো শ্রেণীর মামলা অথবা কোনো সম্প্রদায়কে এই অধ্যাদেশেরসকল অথবা যেকোনো বিধানের সক্রিয় আওতা হইতে রেহাই দিতে পারিবেন ।
ধারা-১৯ (বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা)
সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার এই অধ্যাদেশের বিধানাবলী কার্যকর করিবার উদ্দেশ্যেবিধিমালাপ্রণয়ন করিতে পারিবেন ।
ধারা-২০ (বিলোপ)
১৯৬১ সালের সালিশি আদালত অধ্যাদেশ (১৯৬১ সালের ৪৪নং অধ্যাদেশ) এত দ্বারা বিলুপ্ত হইল ।
তফসিল
প্রথম খন্ড
ফৌজদারী মামলাসমূহ
(১)দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইনের) ১৪১ ধারার তৃতীয় ও চতুর্থ তফসিলসহ গঠিতবিধির ১৪৩ ও ১৪৭ ধারা, যখন বেআইনী সমাবেশের অভিন্ন উদ্দেশ্য হইতেছেদণ্ডবিধির ৩২৩ বা ৪২৬ বা ৪৪৭ ধারার অপরাধ সংগঠন করা এবং বেআইনী সমাবেশেঅংশগ্রহণকারীর সংখ্যা দশজনের অধিক নহে ।
(২)দণ্ডবিধির ১৬০, ৩২৩, ৩৩৪, ৩৪১, ৩৪২, ৩৫২, ৩৫৮, ৪২৬, ৪৪৭, ৫০৪, ৫০৬ (প্রথম ভাগ) ৫০৮, ৫০৯ ও ৫১০ ধারা ।
(৩)দণ্ডবিধির (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) ৩৭৯, ৩৮০ ও ৩৮১ ধারা যেক্ষেত্রে গবাদিপশু সংক্রান্ত অপরাধ সংগঠিত হয় ।
(৪)দণ্ডবিধির (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) ৩৭৯ ধারা যেক্ষেত্রে গবাদিপশু ব্যতীত অন্যকোনো সম্পত্তি অপরাধ সংগঠিত হয় যে সম্পত্তির মূল্য ৫০০০ টাকার অধিক নহে ।
(৪-ক)দণ্ডবিধির(১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) ৩৮০ ও ৩৮১ ধারা, যেক্ষেত্রে গবাদি পশু ব্যতীত অন্যকোনো সম্পত্তি সম্পর্কে অপরাধ সংগঠিত হয়, যে সম্পত্তির মূল্য ৫০০০ টাকারঅধিক নহে ।
(৫)দণ্ডবিধির ৪০৩, ৪০৬, ৪১৭ ও ৪২০ ধারা, যখন অপরাধ সংশ্লিষ্ট অর্থের পরিমাণ ৫,০০০ টাকার অধিক নহে ।
(৬)দণ্ডবিধির ৪২৭ ধারা, যখন সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির মূল্য ৫০০০ টাকার অধিক নহে ।
(৭)দণ্ডবিধির ৪২৮ ও ৪২৯ ধারা যখন সংশ্লিষ্ট পশুর মূল্য ৫০০০ টাকার অধিক নহে ।
(৮)১৯৭১ সনের গবাদিপশুর অনধিকার প্রবেশ আইনের (১৮৭১ সনের ১নং আইন) ২৪, ২৬ ও ২৭ ধারা ।
(৯)উপরোক্ত অপরাধসমূহের যেকোনো একটি সংগঠনের চেষ্টা করা অথবা সংগঠনের সহায়তা বা প্ররোচনা দান করা ।
দ্বিতীয় খণ্ড
দেওয়ানী মামলাসমূহ
(১)কোনো চুক্তি বা অন্য কোনো দলিল মূলে প্রাপ্য টাকা আদায়ের জন্য মামলা । (২)কোনো অস্থাবর সম্পত্তি বা উহার মূল্য আদায়ের জন্য মামলা । (৩)কোনো স্থাবর সম্পত্তি বে-দখল হওয়ার এক বত্সরের মধ্যে উহার দখল পুনরুদ্ধারের জন্য মামলা । (৪)কোনো অস্থাবর সম্পত্তি বেআইনীভাবে লওয়া বা বিনষ্ট করার দরুন ক্ষতিপূরণের মামলা । (৫)গবাদিপশুর অনধিকার প্রবেশের দরুন ক্ষতিপূরণের মামলা । | যখন দাবিকৃত অর্থ, অথবা অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য অথবা সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পত্তির মূল্য ৫০০০ টাকার অধিক নহে । |
·